আজকাল বিভিন্ন প্রসাধণীর বিজ্ঞাপনের কল্যাণে অ্যান্টিঅক্সিডেলান নামটি হয়তো সকলেই শুনেছেন। কি এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট? এইভাবে বলা যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো আমাদের শরীরের সুস্থ্যতা ও যৌবন ধরে রাখার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আসুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আরো উপকারের কথা জেনে নিই।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ত্বক, চোখ, টিস্যু, সন্ধি, হৃত্পিণ্ড ও মস্তিষ্কের সুপরিণতি ধীর করে দেয় ।
- স্বাস্থ্যবান, অধিক প্রফুল্ল, চামড়া উজ্জ্বল করে ।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ।
কিভাবে কাজ করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
জেনে নেওয়া প্রয়োজন কিভাবে কাজ করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট? মানুষের দেহের কোষগুলোয় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম রাসায়নিক বিক্রিয়া চলছে। অত্যাবশ্যক এসব বিক্রিয়ার কারণে মুক্ত মৌল (ফ্রি রেডিকেল) তৈরি হয় এবং তারা দেহে জমা হতে থাকে। সামান্য পরিমাণ মুক্ত মৌল হয়তবা তেমন ক্ষতিকর নাও হতে পারে। তবে যখন বয়স বাড়ে এবং বেশি পরিমাণ মুক্ত মৌল জমা হয় দেহে, তখন সেগুলো দেহ-কোষের ধ্বংস বা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মজার বিষয় হল দেহের যেসব কোষ যেমন- মুখের ভেতরের মিউকাস স্তরের কোষ ও পাকস্থলির আবরণী কোষ ইত্যাদি স্বল্প সময়ে প্রতিস্থাপিত হওয়ার সামর্থ্য রাখে তাদের বেলায় মুক্ত মৌল ঘটিত কোষ-মৃত্যু তেমন বড় কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তবে যেসব কোষ যেমন- স্নায়ুকোষ, হৃৎপিণ্ডের মাংশপেশি ইত্যাদি খুবই ধীরে ধীরে প্রতিস্থাপিত হয় বা আদৌ প্রতিস্থাপিত হতে পারে না তাদের প্রতিটি কোষের মৃত্যুই ক্ষতির কারণ হয়। বেশি মাত্রায় এমন কোষের মৃত্যু বা ধ্বংস ঘটলে দেহে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
মুক্ত মৌলসমূহ মানুষের দেহে আমৃত্যু পর্যন্ত জমা হতে থাকে। দেহ কিছুটা বের করে দিতে পারে। তবে বেশির ভাগই দেহের ভেতরে থেকে যায় এবং কোষের ক্ষতি করতে থাকে। মুক্ত মৌলগুলো অক্সিডেভিট বিক্রিয়ায় উপজাত হিসাবে উৎপন্ন হয় । এগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব- আর এ কাজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়তা করে।
কিভাবে যৌবনদীপ্ত জীবনযাপন করা যায় তার জন্য বহু যুগ ধরেই স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা কাজ করে চলেছেন। মানুষের বেঁচে থাকার সময় ক্রমান্বয়ে দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং আরও হবে আশা করা যাচ্ছে। তারপরও আরও বেশিদিনের আয়ু, আরও প্রলোভিত যৌবন প্রত্যাশা করে আসছে মানুষ। আর এর জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধরনের ঔষধ গ্রহনে অনেক চিকিৎসকও পরামর্শ দিচ্ছেন।
যে কোন কিছুর বিনিময়ে যৌবন ধরে রাখার ইচ্ছে প্রতিটি মানুষেরই থাকে। মানুষ চায় বয়স কমিয়ে তরুণ থাকতে । যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখার জন্য যে পদার্থ (অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ) তা যদি কিছু খাবারের মাধ্যমেই পূরণ হয় তাহলে এরচেয়ে আর ভালো কি হতে পারে।
লাল চাল
ঢেকিতে ছাঁটা বা মেশিনে হালকা করে ছাঁটা চালে লেগে থাকে বাদামি বা লালাভ একটি আস্তরণ। লাল চাল পুরো স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। এটি কম ক্যালরিসমৃদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে পলিফেনল। এটি অক্সিডেশন (জারণ) প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা মেটাতে খাদ্যতালিকায় লাল চালও রাখতে পারেন। অধিকিন্তু, এ চালে থাকা উপাদান আপনার কোলন পরিষ্কার করতে পারে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ও প্রয়োজনীয় ফাইবার। ভালো মানের লাল চাল অর্ডার করুণ খাসফুড শপ থেকেঃ Order Brown Rice
মধু
সেই প্রাচীনকাল থেকে মধু নানা চিকিৎসা বিদ্যায় ব্যবহার হয়ে আসছে। মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মধুকে প্রাকৃতিক ঔষধিতে পরিণত করেছে। দৈনন্দিন জীবনে তাই মধুর ব্যবহারের সীমা নেই। খাঁটি মধু অর্ডার করতে পারবেন খাসফুড অনলাইন শপ থেকে। পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।
অর্ডার করার জন্যঃ
সুন্দরবনের মধু | মিশ্র ফুলের মধু | কালোজিরার মধু |
খেজুর
খেজুরে সব ধরনের ফাইটোকেমিকেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। অ্যানথোসায়ানিন নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে এতে। এটি শক্তি বাড়াতে কাজ করে।এতে আরোও রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি’, নিওক্লোরোজেনিক এসিড এবং ক্লোরোজেনিক এসিড। ক্লোরোজেনিক এসিড রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
মাছের মধ্যে রয়েছে স্যালেনিয়াম। এটি মানব শরীরকে সুরক্ষা দেয়, ভালো রাখে। বিভিন্ন ধরনের মাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
মসলা
মশলা যুগ যুগ ধরে আমাদের দৈনন্দিন সুস্বাদু খাদ্যের অংশ। না জানার কারণে অনেক মশলা খাবারে ব্যবহার করা হয় না। মসলা মধ্যে লবঙ্গতে সর্বশ্রেষ্ঠ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা রয়েছে।