ক্ষীর (Kheer) এবং পায়েস অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। আপাত দৃষ্টিতে এক মনে হলেও আদতে এ দুইটি কিন্তু আলাদা। গোটা চাল, দুধ এবং চিনির সঙ্গমিশ্রণে তৈরি হয় পায়েস। অন্যদিকে ক্ষীর তৈরিতে প্রয়োজন চালের গুঁড়া বা ভাঙ্গা চাল। তাছাড়া ক্ষীরে দুধের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
ক্ষীর বাংলার এক প্রচলিত মিষ্টান্ন। এটি অন্যান্য মিষ্টির সহযোগী হিসেবেও প্রস্তুত করা হয়। মূলত দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ক্ষীরে পরিণত করা হয়। এর ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাথে যোগ করা হয় চালের গুঁড়া বা সুজির মতন দ্রব্য।
প্রাচীনকাল থেকে উৎসব – পার্বণে মিষ্টিমুখ করতে ক্ষীর রান্নার প্রচলন রয়েছে। তবে আধুনিক সময়ে এসে মনে হয় ক্ষীর রান্না বেশ সময়সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। এই সময়সাপেক্ষ কাজটিকে সহজ করে আনতে এখন বাজারে পাওয়া যায় ক্ষীর মিক্স।
ক্ষীর (Kheer) মিক্স কেনো উপযোগী?
ক্ষীর তৈরির মূল উপাদান দুধ। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে তবেই এই মিষ্টান্ন প্রস্তুত করা হয়। সেই সাথে যুক্ত করা হয় ভাঙ্গা চাল ও চিনি। তাছাড়া এর স্বাদ বৃদ্ধি করতে আরও যুক্ত করা হয় বাদাম ও কিশমিশ।
দুধ একটি আদর্শ খাবার। কারণ এতে রয়েছে সকল পুষ্টি উপাদান তাও সঠিক পরিমাণে। এই জন্যেই বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক বাচ্চাই দুধ পছন্দ করে না। তাদের ক্ষেত্রে একটি সুন্দর বিকল্প এই ক্ষীর।
তবে ক্ষীর তৈরি একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হওয়ায় অনেকেরই হয়তো রান্না করতে গরিমসি লাগে। এক্ষেত্রে ক্ষীর মিক্স একটি সহজ সমাধান। ক্ষীর মিক্স এ দুধ ব্যতীত সকল শুকনো উপাদান সঠিক পরিমাণে মিশ্রিত থাকে। ফলে দুধের সংযোজনে সহজেই এই উপাদেয় খাবার তৈরি সম্ভব।
কেনো খাস ক্ষীর মিক্স সেরা?
খাস ক্ষীর মিক্স এ আছে সুগন্ধি চালের গুঁড়া, ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার, স্কিম মিল্ক পাউডার, গুঁড়ো চিনি, পেস্তা চূর্ণ, কাঠবাদাম চূর্ণ, এলাচ গুঁড়া ইত্যাদি।
সুগন্ধি চালের গুঁড়া ও এলাচ গুঁড়া স্বাদের সাথে যোগ করে দারুণ মনমাতানো ঘ্রাণ। ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার এতে যোগ করে সরময় ভাব বা ক্রিমি টেক্সচার।
সেই সাথে সময় বাঁচিয়ে চটজলদি তৈরি করতে খাস ক্ষীর মিক্স এর বিকল্প নেই। একটি প্যাকেট ৫-৬ জনের জন্য পরিবেশন যোগ্য।
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.