বর্তমানে প্রায় প্রতি পরিবারেই এক সাধারণ আতংকের নাম ডায়াবেটিস। অনেকেই অনেক ধরণের ঔষধের উপর নির্ভর করেন সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু, আমাদের চারপাশেই অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আপনাদের এই চ্যালেঞ্জকে করে দিতে পারে অনেক সহজ।
চলুন তবে এক নজরে জেনে নেই কোন কোন খাবার আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রভূত অবদান রাখে! তবে হ্যা, খাবারগুলো কিন্তু হতে হবে একদম নির্ভেজাল এবং নিরাপদ মানের।
চাঃ চা এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি পানীয়। গ্রিন-টি বা সবুজ চা কিংবা রং চা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ উপকারী। তবে চায়ে চিনি মেশানো যাবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
রসুনঃ রসুনের উপকারিতা অনেক। রান্নার পাশাপাশি এই রসুন স্বাস্থ্য ভালো রাখার ঔষধ হিসেবেও কাজ করে। রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুন না খেতে পারলে রসুনের উন্নতমানের এবং ভেজালমুক্ত আঁচার গ্রহণ করতে পারেন।
খেজুরঃ খেজুরের মিষ্টি স্বাদের কারণে অনেকেই ভেবে থাকেন, ডায়াবেটিক রোগীদের এটা খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু প্রচুর ফাইবারযুক্ত খেজুর আসলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। সকাল বেলা ২-৩টা খেজুর খেতেই পারেন। সূত্র: এনডিটিভি
দুধঃ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর ভালো উৎস দুধ। আর সেজন্য দুধ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য উপকারী খাবার। সকালের নাশতায়ও আপনি রাখতে পারেন দুধ অথবা দুগ্ধজাত কোনো খাবার। অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ খেলে ঘুমটাও হবে বেশ।
ডিমঃ ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে উচ্চমানের প্রোটিন রয়েছে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা ২ ধরণের ডায়াবেটিসই প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বাদামঃ গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমায় বাদাম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১ আউন্স আখরোট বা কাজুবাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
লাল আটাঃ লাল আটা দিয়ে তৈরি খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকে। শর্করা জাতীয় খাবার যেমন – বিস্কুট, কেক, ইত্যাদি খাওয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে লাল আটা শর্করা কম রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের লাল আটার রুটি খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
ডায়াবেটিস সাধারণত আরোগ্য হয় না। এর ওষুধ নিয়মিত খেয়েই যেতে হয়। কিন্তু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারনে শরীরে অন্য রোগও বাসা বাধতে পারে।
প্রাকৃতিক খাবার ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে যেমন সাহায্য করে, তেমনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হাত হতেও বেঁচে থাকা সম্ভবপর হয়।