বাঙালির রসনায় ঘি একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। পোলাও-কোর্মা-বিরানী সহ যেকোনো মুখরোচক খাদ্যে ঘি এর ব্যবহার প্রায় বাঞ্ছনীয় বলা যায়। কিন্তু এই ঘি মূলত কি? আসলে ঘি হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হওয়া এক ধরণের পরিশোধিত মাখন। এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রান্নায় খাদ্যের স্বাদ-পুষ্টিগুন বৃদ্ধিতে বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঘি এর কদর ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র। বাংলার বহু রান্নায়, মূলত গুরুপাক খাবারে ঘি ব্যবহৃত হয়ে খাদ্যরসিক বাঙ্গালির রসনার তৃপ্তি ঘটিয়ে আসছে।
ভেজালযুক্ত ঘি
একসময় গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপ ছিলো এমন যে, শীতের সকালে গরম ভাত আর খানিকটা ঘি একত্রে মিশিয়ে খাওয়া হতো। কিন্তু সেই দৃশ্য আজ সব খানেই বিরল। তখন তো আর ভেজাল ও ছিলো না। তাই মানুষ খেতো ও প্রচুর। এখন তো সেই খাঁটি ঘি পাওয়াই দুষ্কর। ভেজাল ঘি খেয়ে মানুষের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার ফলে মানুষ এখন ঘি জাতীয় খাদ্য খাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। এক সময় যেখানে প্রায় প্রত্যেক মুখরোচক খাবারে ঘি ব্যবহৃত হতো, সেখানে অনেক খাদ্যেই ঘি এর যায়গা দখল করেছে তেল জাতীয় অন্য খাবার।
ভেজালযুক্ত ঘি কীভাবে চিনবেন?
মজার ব্যাপার হচ্ছে আমাদের মধ্যে প্রায় কেউই আসল ঘি চিনি না। তাই কোন ঘিতে ভেজাল আছে আর কোনটাতে নেই, সেটা বোঝাও আমাদের জন্য এখন মুশকিল হয়ে গেছে। আপনি যদি এই মুহূর্তে বাসায় বসে এই লেখাটি পড়ে থাকেন, তাহলে একটা কাজ করুণ। রান্নাঘরে ঢুকে ঘি এর জারটা হাতে নিন। এবার সেই জারে আপনারা একটু চোখ বুলান। কি দেখতে পাচ্ছেন? জারের নিচের অংশে ঘি এর লেয়ার এবং উপরের দিকে তৈলাক্ত আবরনের লিকুইড। তাইনা? এর কারণ হচ্ছে এটা আসল ঘি না, এটা হচ্ছে এক ধরণের বাটার ওয়েল ; অথচ তা বাজারে অনায়াসে বিক্রি করা হচ্ছে ঘি এর নামে। মানুষ প্রতারিত হচ্ছে না বুঝে।
তাহলে খাঁটি ঘি পাওয়ার উপায় কি? বাংলাদেশে বসে কি আদৌ খাঁটি ঘি পাওয়া সম্ভব?
শুধু কি বাজের ঘি তে ভেজাল দেওয়া হয়? না! বাজারে পাওয়া যায় এমন আরও একটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি পন্য- মধুতে প্রচুর ভেজাল থাকে যা শরীরের উপকারের তুলনায় অপকারই বেশি করে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ মধুর উপকারিতা
খাঁটি ঘি
আশার কথা হচ্ছে খাঁটি ঘি এখনও পাওয়া সম্ভব, এবং তা কেনার জন্য আপনাকে বাসার বাইরে যেতে হবে না। ঘরে বসে অনলাইনে খাসফুড থেকে অর্ডার করতে পারবেন ভালমানের ঘি। ‘খাস ফুড’ এই ভেজালপূর্ন বাজারেও আমি বলবো এক কথায় সর্বোৎকৃষ্ট খাটি ঘি নিয়ে এসেছে (আল্লাহ সর্বদ্রষ্টা), শুধুমাত্র আপনাদের সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। আমরা আমাদের অনলাইন শপ থেকে সব সময় চেষ্টা করি সেরা পন্যটি সর্বোচ্চ অর্গানিক অবস্থায় আপনার হাতে তুলে দিতে।
খাসফুডের খাঁটি ঘি কীভাবে তৈরি?
‘খাস ফুড’ আপনাদের জন্য যে ঘি দিচ্ছে তা তৈরি হয় প্রাকৃতিক উপায়ে। গরুর দুধ দোহনের পর তা ৩ ঘন্টা রেখে দেওয়া হয়। স্বর বসে গেলে সেখান থেকে দক্ষ ব্যাক্তিদের দ্বারা তৈরি হয় মোটা আবরনের ঘি। এই ঘি বাজারের সেরা ঘি যা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি আমরা একদম সুলভ মুল্যে। একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে ইনশাআল্লাহ। একবার চেখে দেখুন না।
তাহলে আর দেরি কেন? খাঁটি ঘি অনলাইনে অর্ডার করার জন্য আজই ভিজিট করুণঃ খাসফুড অনলাইন শপ