কালোজিরা ও মধু – উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি খাবার। কিন্তু আমাদের মধ্যেই অনেকেই জানেন না যে – যারা এ দুটো খাবারই নিয়মিত খায়, তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ নানান উপকার হয়। কালোজিরা ও মধুর মিথস্ক্রিয়া এর গুণাবলি বলে শেষ করা যাবে না।
এ সম্পর্কে হাদীসে যা বলা হয়েছেঃ
মহানবী (সঃ) বলে গেছেন, মৃত্যু ব্যতিত সর্ব রোগের মহৌষধ কালোজিরা।
হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে। তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।
[মুজামুল আওসাতঃ তাবরানী।]
কালোজিরা তেল ও মধুর মিথস্ক্রিয়াঃ গুণাগুন ও ব্যবহারবিধি
**মাথা ব্যথা নিরাময়ে :
১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগালে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করলে মাথা ব্যথা চলে যায়।
**সর্দি সারাতে :
এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার খেতে হবে এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়।
**বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে :
আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করতে হবে। এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্ন করলে চর্মরোগ দূর করা যায়।
**ব্লাড প্রেসারনিয়ন্ত্রনে রাখতে :
প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন সেব্ন করলে তা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে।
**দুগ্ধবতী মায়েদের দুধ বৃদ্ধির জন্য :
যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা।মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেলে মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্। এছাড়াও এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেবন করুন।
**ত্বকের আর্দ্রতার জন্য:
শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতার জন্য বডি লোশনের পরিবর্তে শুধু কালোজিরার তেল অথবা জাইতুন (অলিভ ওয়েল) তেল এর সাথে কালোজিরার তেলমিশিয়ে সারা শরীরে মালিস করুন যা আপনাকে / আপনার শিশুর ত্বককে রাখবে আর্দ্র ও লাবণ্যময় এবং চর্মরোগের ঝুঁকি কমাবে। বিশেষভাবে শিশুর ত্বকের জন্য এই পদ্ধতিটি সারা বছর ব্যবহার করা যাবে।
**গ্যাষ্ট্রীক বা আমাশয় নিরাময়ে :
এক চা-চামচ তেল সমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্ন করুন। গ্যাস্ট্রিক বা আমাশয় কমে যাবে।
সব ধরণের কালোজিরা ও মধু কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
অবশ্যই তা নয়। বাজারে যে ভেজাল মধু পাওয়া যায় তা স্বাস্থ্যের উপকারের বদলে অপকারই বেশি করে থাকে। এ জন্য চাই মৌচাক থেকে কেটে আনা, কেমিক্যাল মুক্ত খাঁটি মধু। অন্যদিকে কালোজিরা তেলেও অনেক ধরণের কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তাহলে ভাল মানের মধু ও কালোজিরা কোথায় পাবেন?
দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাবারের অনলাইন শপ- খাসফুড আছে আপনার পাশে। আমাদের কাছ থেকে অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন যেকোনো নিরাপদ খাদ্য, অতি দ্রুত তা পৌঁছে দেওয়া হবে আপনার ঠিকানায়। আজই অর্ডার করে ফেলুন, এবং কাল থেকে শুরু করুণ নিয়মিত কালোজিরা ও মধু খাওয়ার অভ্যাস।
সুন্দরবনের খাঁটি মধুঃ Order Sundarban Honey
কালোজিরা তেলঃ Order Black Seed Oil
তবে দুটো খাবার একসাথে পাওয়ার জন্য অর্ডার করতে পারেন কালোজিরার মধুঃ Order Black Seed Honey
অাপনাদের মধু যে খাঁটি এর নিশ্চয়তা কি????
আর ঢাকাতে কোথাও আপনাদের ব্রাঞ্চ আছে কি? আমার খাঁটি মধু লাগবে।
—-S@iful :01712396564
কিভাবে?
আপনি সঠিক নিয়মে নিয়মিত খেলেই বুঝবেন ইনশাআল্লাহ।