ভোজ্য তেল হিসেবে কোন তেল বেছে নিবো সেটা নিয়ে বরাবরই আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। কারন খাবার হিসেবে আমরা যে তেল ব্যবহার করবো আমাদের শরীরে তার বড় ধরনের ইম্প্যাক্ট পড়ে। তেলের কথা ভাবলেই প্রথমে যে কথাটি আমাদের মাথায় আসে তা হলো, আমরা যে তেল কিনছি সেগুলো কি আসলেই খাঁটি? অস্বাস্থ্যকর তেল আমাদের পেটের পীড়া বাড়ায়, হজমে সমস্যা হয়, এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যেও ঝামেলা হয়। এতে সাধারণ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হয়।কয়েক দশক আগেও মানুষ ভোজ্য তেল হিসেবে সরিষার তেল ব্যবহার করতো।
এই তেলের কথা ভাবলেই স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে কাঠের ঘানিতে দুইটা গরু বাধা তারা ঘুরছে চারদিকে আর সরিষা থেকে তেল বের হচ্ছে। এ যেন বাংলার চিরাচরিত চিত্র। এই তেল বাঙালী রসনার অত্যাবশকীয় অনুষঙ্গ। ভর্তা, ভাজি, ভুনা যাই হোক না কেন এই তেল দিয়ে রান্না করাটা যেন আমাদের নিত্যদিনের চাহিদা। প্রাচীনকাল থেকে এই তেল তৈরি করা হয় ঘানিতে। কিন্তু বর্তমান যুগে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে ঘানি ভাঙা সরিষার তেল। আপনাদেরকে খাঁটি ঘানি ভাঙা তেলের স্বাদ দিতে আমরা সরবরাহ করছি বিশুদ্ধ সরিষার তেল।
এই তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও। ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে সরিষার ব্যবহার হয়ে আসছে। অন্ত্রে পাচকরস উৎপাদনে সাহায্য করায় হজমপ্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এ ছাড়া একই প্রক্রিয়ায় ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় এই তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়।
বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ওপর করা একটি তুলনামূলক সমীক্ষায় দেখা যায়, সরিষার তেল ৭০ শতাংশ হৃৎপিণ্ড–সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, যা হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।
সরিষার তেলের উপকারিতা –
- বাত রোগের জন্য উপকারী। ব্যথা প্রশমিত করে। চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য কার্যকর।
- ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগের প্রদাহ হ্রাস করে।
- যার ফলে তেলজনিত পেটের পীড়া কম হতো। এছাড়াও এই তেল আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেই যেন মিশে আছে। এর ওষুধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল।
- প্রতিদিনই এই তেল গ্রহণের অন্যতম উপায় হচ্ছে এই স্বাস্থ্যকর তেলকে ভোজ্য তেল হিসেবে নির্বাচিত করা। নিজেকে সুস্থ্য রাখার পাশাপাশি সরিষার তেলের ভিটামিনও প্রবেশ করবে আপনার দেহে।
- এই তেল বাত রোগের জন্য খুবই উপকারী। ব্যথা প্রশমিত করে। চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য কার্যকর। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগের প্রদাহ হ্রাস করে।
কালের স্রোতে আর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে আবহমান বাংলার এই ঐতিহ্য। এখন আর সেই আগের মত ঘানি ভাঙা সরিষার তেল পাওয়া যায়না। তাইতো বাঙালীর সেই চিরায়ত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খাস ফুড আপনাদের জন্য সরবরাহ করছে তেতুল কাঠের ঘানিতে ভাঙা খাঁটি সরিষার তেল। যার ঘ্রাণ আপনাকে মনে করিয়ে দেবে আবহমান বাংলার প্রচলিত সেই খাঁটি সরিষার তেলের কথা। আমাদের এই সরিষার তেল তৈরীর জন্য সরিষা দানা সংগ্রহ করা হয় একদম প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে। এরপর বাছাই করা দানা থেকে তেতুল কাঠের ঘানিতে ভাঙানো হয় এবং তেল উৎপাদন করে পৌঁছে দেওয়া আপনাদের ঘরে ঘরে।
এছাড়া সরিষা সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং অব্দি শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। যাতে করে তেলের ঘ্রাণ ও মান অটুট থাকে। তেল তৈরীর প্রতিটি ধাপে মান নিশ্চয়ন করা হয় নিজস্ব তত্বাবধানে। তাই আপনি যদি একদম খাঁটি সরিষার তেল নিতে চান। আমাদের কাছ থেকে যে কোনো ধরনের তেল নিতে পারেন নিশ্চিন্তে। আপনার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। তাই একবার হলেও সংগ্রহ করে দেখুন আমাদের খাঁটি তেল। আপনি কিনে সন্তুষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ্।
সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিয়ে খাস ফুড গ্রাহকদের আসল ঘানি ভাঙা তেলই সরবরাহ করে যাচ্ছে যেখানে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তেল উৎপাদিত হয়। আর খাস ফুডের খাস সরিষার তেলে পাবেন সেই ছেলেবেলার স্বাদ। আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ১০০ মিলি, ৫০০ মিলি, ১ লিটার ও ৫ লিটারের বোতলে প্যাকেটজাত করেছি। এই তেল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ। তাই আপনার পছন্দের খাঁটি সরিষার তেল নিতে চলে আসুন নিকটবর্তী আউটলেটে অথবা অর্ডার করতে পারবেন অনলাইনে।