শুঁটকি আমাদের একটি জনপ্রিয় খাদ্য। যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাইরের দেশেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে।
শুঁটকি তৈরির প্রচলন শুরু হয়েছে সেই প্রাচীন আমল থেকে। তৎকালীন সময়ে, সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায়, তাজা মাছ সহজেই পচে যেত। তাই খাদ্য সংরক্ষনের পদ্ধতি হিসেবে বের করা হল, খাদ্যকে শুকিয়ে ফেলা!
খোলা জায়গায় বাতাস এবং রোদ ব্যবহার করে মাছকে শুকিয়ে সংরক্ষন, অর্থাৎ শুঁটকি তৈরি তেমনই একটি পদ্ধতি। এর জন্য মাছকে রোদে রেখে, মাছের শরীরের পানি বের করে ফেলা হয়। পানির কারণেই বিভিন্ন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীব বেঁচে থাকে এবং মাছকে পচিয়ে ফেলে।
শুকনো মাছের আয়ুষ্কাল কয়েক বছর পর্যন্ত হতে পারে। এই পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ, কমদামি এবং কার্যকর হয় অনুকূল আবহাওয়াতে। জেলে বা তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত এই কাজ করে থাকে এবং তা বাজারজাত করতে পারে।
তবে দিন যতই এগুচ্ছে, আমরা ততই আধুনিক হচ্ছি। বাইরে রোদে মাছ প্রক্রিয়াজাত করে যে শুকনো মাছ তৈরি করা হয়, তাতে বাইরের ধূলিকণা প্রবেশ করে। ফলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভাল, সে প্রশ্ন থেকেই যায়!
এর সমাধানে খাস ফুড মেকানিক্যাল ফিস ড্রায়ার দিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে শুঁটকি প্রস্তুত করে।
পূর্বে নিতান্তই প্রয়োজনে এই মাছ তৈরি করা হলেও, এখন এর জনপ্রিয়তা অনেক হওয়ায় বানিজ্যিকভাবে শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। তবে সমস্যা তো অন্য জায়গায়!
খবরাখবর পর্যবেক্ষণ করে মনে হচ্ছে, আমরা টাকা দিয়ে বেজায় দামে বিষ খাচ্ছি। কেননা বেশ কিছু তথ্য অনুযায়ী, মাছ শুকানোর আগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাঁচা মাছে এক প্রকার বিষ জাতীয় কেমিক্যাল ব্যবহার করছে। সে মাছও কতটুকু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সে ব্যাপারে সন্দেহ থেকেই যায়!
আবার মাছ শুকানোর পর, শুকনো মাছে এক প্রকার পাউডার মেশানো হয়, যেন সেখানে কোনো পোকামাকড় না বসতে পারে!
শুঁটকি আমাদের এতোটাই প্রিয় যে বাসায় আত্মীয় স্বজনরা আসলে আমরা শখ করে শুঁটকি খাইয়ে থাকি। অথচ সঠিক জায়গা থেকে শুঁটকি না কিনলে, আমরা নিজেদের অজান্তেই প্রিয়জনদের কতোটা ঝুঁকির মুখেই না ফেলে দিতে পারি!
সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে এগিয়ে এসেছে, দেশের এক সনামধন্য খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খাস ফুড। খাস ফুড সবসময়ই নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের ব্যাপারে সচেষ্ট। সে জন্যই খাস ফুড ও মাহী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এর যৌথ উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট (BFRI) এর কারিগরি সহযোগিতায় তারা দেয়, অর্গানিক তথা নিরাপদ শুঁটকি।
খাস ফুডের কালেকশনে আছে কক্সবাজার সদরের উত্তর নুনিয়ারছড়া এবং নাজিরারটেকেই নিজস্ব শুঁটকি ফ্যাক্টরি। যেখানে নিয়মিতই প্রক্রিয়াজাত করা নানান স্বাদের অর্গানিক ও নিরাপদ শুঁটকি। এ তালিকাতে আছে মজাদার চ্যাঁপা শুঁটকি, অর্গানিক ছুরি, অর্গানিক মলা, অর্গানিক সুরমা, অর্গানিক রুপচাঁদা, অর্গানিক পোয়া, অর্গানিক কোরাল, অর্গানিক ফাইস্যা, অর্গানিক লইট্যা সহ দারুণ সব শুঁটকি।
খাস ফুডের সকল অর্গানিক শুঁটকি প্রস্তুতের জন্য সাগরের সুস্বাদু মাছ সংগ্রহ করা হয়। এ মাছ খাস ফুডের ফ্যাক্টরিতে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে শুঁটকি তৈরির জন্য বাছাই করে থাকে। বাছাইকৃত মাছগুলো পরবর্তীতে নাড়ি – ভুঁড়ি, মাথা, লেজ ফেলে দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে শুঁটকি মেকানিক্যাল ফিস ড্রায়ার দিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে শুকানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
ফ্যাক্টরির বিশেষ ঐ চ্যাম্বারের ভেতর শুঁটকিগুলো থাকে সংরক্ষিত। এতে বাইরের কোনো ধুলাবালি প্রবেশ করতে পারে না। এমনকি এতে কোনো প্রকার পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে না।
খাস ফুডের শুঁটকি তৈরির আগে উপযুক্ত পদ্ধতিতে মাছ কেটে এর বাড়তি অংশ ফেলে পরিষ্কার করা হয় বলে অর্গানিক এ শুঁটকি হয় দুর্গন্ধমুক্ত! এমনকি এ শুঁটকিতে ওজনে পাবেন দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি মাংসল মাছ!
খাস ফুডের নিরাপদ শুঁটকি আমিষ ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। কেননা অর্গানিক শুঁটকির প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রক্রিয়া যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনি এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী উপাদানে ভরপুর। খাস ফুডের শুঁটকিতে কোন ধরণের কেমিক্যাল ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না বিধায় নির্দ্বিধায় সকলে খেতে পারবেন।
খাস ফুডের প্যাকেজিং পদ্ধতিও বেশ উন্নত। প্রথমেই ভ্যাকুয়াম প্যাকের ভেতরে স্বাস্থ্যসম্মত শুঁটকিগুলো প্যাক করা হয়। তারপর ঐ প্যাকেটের উপরে বেশ মোটা ধরণের প্লাস্টিকের সাহায্যে আরেক ধাপে প্যাকিং করা হয়। ফলে সকলের সাধের শুঁটকিতে বাইরের ধূলিকণা প্রবেশের সুযোগই পায় না৷
বুঝতেই পারছেন স্বাস্থ্যসম্মত, সুস্বাদু শুঁটকি সরবরাহের ব্যাপারে কতোটা সচেষ্ট খাস ফুড! কারণ যেনতেন অস্বাস্থ্যকর শুঁটকি খাওয়া আর বিষ খাওয়ার মধ্যে পার্থক্য কিন্তু নেই। তেমন তাই টাকা দিয়ে বিষ না খেয়ে চেখে দেখতে পারেন খাস ফুডের জনপ্রিয় সব শুঁটকি।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের ব্যাপারে কোনো আপোষ নয়। যদি কখনো মনে হয়, আপনার খাদ্যদ্রব্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সঠিক পণ্য দিচ্ছে না, উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না। সকলে সচেতন হলে, তবেই না আমরা ভেজাল খাবার মুক্ত বাংলাদেশ পাব।