ফেসবুকের মাধ্যমে এই বছর আমাদের অনলাইন গরুর হাটের ব্যাপারে জানাবার পর থেকেই প্রচুর সংখ্যক ব্যক্তি আমাদের সাথে ফেসবুক ও ফোনের মাধ্যমে কোরবানি প্রক্রিয়াকরণ সেবা নিতে ইচ্ছা পােষণ করেছেন।
এই বছর করােনার প্রকোপের ফলে অচেনা মানুষ এর পরিষেবা নিতে অপারগ অনেকেই; আবার কোয়ারান্টাইনেও আছেন অনেকে। এইসব চিন্তা করেই খাস ফুড এই বছর গরু বিক্রির পাশাপাশি প্রথমবারের মতাে গােশত প্রসেসিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ।
আমরা যা যা করবাে
১. পশু কোরবানি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের জিম্মায় রাখা হবে।
২. ঈদের দিন সলাতের পরে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায়কারী এমন একজনকে দিয়ে পশুটিকে কোরবানি করা হবে।
৩. গরুর প্রতেকটি অংশের মাংস আলাদা আলাদা প্যাক করে পরে একটি মাস্টার ব্যাগে প্যাক করা হবে।
৪, মাথার গােশত প্রসেস করে আলাদা করে রাখা হবে।
৫. মূল ভুড়িটি থেকে গােবর ফেলে একবার ধুয়ে প্যাকেট করা হবে।
৬. পা খুরসহ চামড়া ছাড়িয়ে আলাদা করে দেওয়া হবে।
৭. একটি গরুর কাজ শেষ হওয়া মাত্রই সব কিছু একসাথে ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে যেন ক্রেতারা তাজা গােশত পান।
৮, প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে আমরা আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে অর্থাৎ যিনি আগে গরু অর্ডার দিয়ে টাকা পেমেন্ট করবেন তাকে আমরা সিরিয়ালে আগে রাখব।
সার্ভিসটি গ্রহণের নিয়মাবলী
১. খাস ফুডের গােশত প্রসেসিং সার্ভিস শুধুমাত্র আমাদের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া গরুর জন্য প্রযােজ্য।
২. অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার সময় ক্রেতা বাছাই করে নেবেন তিনি সার্ভিসটি গ্রহণ করতে চান কিনা। ওয়েবসাইট ব্যাতীত অন্য কোন মাধ্যমে এই সার্ভিসটির জন্য বুকিং গ্রহণযােগ্য হবে না।
৩, সার্ভিসটির গ্রহণের জন্য একজন ক্রেতাকে ঈদের দিন হলে প্রতি কেজিতে ৬০ টাকা এবং পরের দিন হলে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা পরিশােধ করতে হবে।
৪. গােশত গ্রাহক কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত একটিমাত্র ঠিকানায় ডেলিভারি দেওয়া হবে। একাধিক ঠিকানায় কিংবা ভাগ ভাগ করে ডেলিভারি দেওয়া হবে না।
৫. মােট গােশতের পরিমাণ ওজন করে ইনভয়েসে লিখে দেওয়া হবে।
৬. ক্রেতাকে সকাল আটটার মধ্যে ঈদের সালাত আদায় করে ফেলতে হবে, কারণ আমরা সকাল আটটা থেকে গরু জবাইয়ের কাজ শুরু করব। ঠিক কোন সময়ে পাবেন সেটা আমরা এখনই বলতে পারছি না, কারণ তা নির্ভর করবে গরুর সাইজ, আমাদের প্রসেসিং পয়েন্ট থেকে ক্রেতার বাসার দূরত্ব এবং রাস্তার অবস্থার ওপরে। সারাবছর কাজ করে এমন প্রফেশনাল কসাইদের দিয়ে কাজটা করাবার জন্য গরুটি কুরবানি হবার পরে খুব তাড়াতাড়িই গােশত আপনার কাছে পৌঁছে যাবে ইনশা আল্লাহ।
খাস ফুড দীর্ঘ দিন ধরে নীতি ও নৈতিকতা অনুসরণ করে ভােক্তাদের নিরাপদ খাবার প্রদানের মাধ্যমে আস্থার এক বন্ধন গড়তে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস নিরাপদ খাদ্যের এই যাত্রায়ও ভােক্তাগণ আমাদের পাশেই থাকবেন।