রমাদান এর পরিকল্পনাঃ
অনেকেই ভেবে থাকেন যে সালাত ও সিয়াম পালনের মাধ্যমেই তো রমাদান অতিবাহিত হয়, এর জন্য আবার আলাদা করে প্ল্যানিং এর প্রয়োজনীয়তা কোথায়। কিন্তু আদতে রমাদানের জন্যেও দরকার বিশেষ প্রস্তুতি। এই মাস রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস যা বছরে মাত্র একবারই আসে। আর এ সময়ই মুসলিম উম্মাহ পায় আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের ও নিজের গোনাহ মাফের সুযোগ। তাই সালাত ও সিয়াম পালনের পাশাপাশি কীভাবে এই মাসকে সর্বোচ্চ উপযোগী করে তোলা যায় তা পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা দরকার।
১। সময় বিভাজন –
রমাদানে একেক জনের কাজের সময় একেক রকম থাকে। তাই নিজের সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে কখন কোন ধরনের আমল, যিকির করবেন তা ভাগ করে ফেলা উত্তম। একই সাথে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় আলাদা করে রাখা দরকার।
২। পরবর্তী দিনের কাজের তালিকা তৈরি –
রমাদানের প্রতিটি দিনের কাজে ভিন্নতা দেখা দেয়। তাই আগেরদিনই আপনার পরের দিনের কাজের তালিকা বা টু ডু লিস্ট তৈরি করে রাখার অভ্যাস করুন। এতে করে পরবর্তী দিনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে।
৩। সেহরি ও ইফতারের মেনু প্ল্যানিং –
যেহেতু পুরো রমাদান জুড়ে খাদ্য গ্রহণের সময় এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসে তাই পরিবাদের সদস্যদের বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে মেনু প্ল্যান করা এবং সেই অনুযায়ী বাজার করে ফেলা আবশ্যক। এতে করে রমাদান জুড়ে সুস্থতা বজায় থাকে এবং সিয়াম পালন সহজ হয়ে উঠে। আর এজন্য সেহরি ও ইফতারে নিরাপদ খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
৪। চেকলিস্ট তৈরি –
রমাদানের জন্য প্রাত্যাহিক আমল ও যিকিরের বাইরে সেসকল আমল ও যিকির করতে আগ্রহী সেসব নিয়ে একটা চেকলিস্ট তৈরির চেষ্টা করুন। এর ফলে প্রতি বেলায় চেকলিস্ট মার্ক করার মাধ্যমে নিজের অগ্রগতি অনুধাবন করা সম্ভব। এই পদ্ধতির অনুসরণ করলে তা ইবাদাতে আরও মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেয়।
৫। কোরআন ট্র্যাকার –
প্রতিদিন কত পারা বা কত পৃষ্ঠা বা আয়াত কোরআন পড়া হয়েছে তা ট্র্যাক করে রাখলে কোরআন পড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং তা বেগবান হয়।
শাবান মাসকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে রমাদানে প্রবেশ করা মুসলিম উম্মাহ এর জন্য বেশ বড় ব্যাপার। এর ফলে রমাদান মাসকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। তাই রমাদানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলে চাইলে এখন থেকেই সচেষ্ট হওয়া আবশ্যক।
রমাদান এর পরিকল্পনাঃ
অনেকেই ভেবে থাকেন যে সালাত ও সিয়াম পালনের মাধ্যমেই তো রমাদান অতিবাহিত হয়, এর জন্য আবার আলাদা করে প্ল্যানিং এর প্রয়োজনীয়তা কোথায়। কিন্তু আদতে রমাদানের জন্যেও দরকার বিশেষ প্রস্তুতি। এই মাস রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস যা বছরে মাত্র একবারই আসে। আর এ সময়ই মুসলিম উম্মাহ পায় আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের ও নিজের গোনাহ মাফের সুযোগ। তাই সালাত ও সিয়াম পালনের পাশাপাশি কীভাবে এই মাসকে সর্বোচ্চ উপযোগী করে তোলা যায় তা পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা দরকার।
১। সময় বিভাজন –
রমাদানে একেক জনের কাজের সময় একেক রকম থাকে। তাই নিজের সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে কখন কোন ধরনের আমল, যিকির করবেন তা ভাগ করে ফেলা উত্তম। একই সাথে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় আলাদা করে রাখা দরকার।
২। পরবর্তী দিনের কাজের তালিকা তৈরি –
রমাদানের প্রতিটি দিনের কাজে ভিন্নতা দেখা দেয়। তাই আগেরদিনই আপনার পরের দিনের কাজের তালিকা বা টু ডু লিস্ট তৈরি করে রাখার অভ্যাস করুন। এতে করে পরবর্তী দিনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে।
৩। সেহরি ও ইফতারের মেনু প্ল্যানিং –
যেহেতু পুরো রমাদান জুড়ে খাদ্য গ্রহণের সময় এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসে তাই পরিবাদের সদস্যদের বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে মেনু প্ল্যান করা এবং সেই অনুযায়ী বাজার করে ফেলা আবশ্যক। এতে করে রমাদান জুড়ে সুস্থতা বজায় থাকে এবং সিয়াম পালন সহজ হয়ে উঠে। আর এজন্য সেহরি ও ইফতারে নিরাপদ খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
৪। চেকলিস্ট তৈরি –
রমাদানের জন্য প্রাত্যাহিক আমল ও যিকিরের বাইরে সেসকল আমল ও যিকির করতে আগ্রহী সেসব নিয়ে একটা চেকলিস্ট তৈরির চেষ্টা করুন। এর ফলে প্রতি বেলায় চেকলিস্ট মার্ক করার মাধ্যমে নিজের অগ্রগতি অনুধাবন করা সম্ভব। এই পদ্ধতির অনুসরণ করলে তা ইবাদাতে আরও মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেয়।
৫। কোরআন ট্র্যাকার –
প্রতিদিন কত পারা বা কত পৃষ্ঠা বা আয়াত কোরআন পড়া হয়েছে তা ট্র্যাক করে রাখলে কোরআন পড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং তা বেগবান হয়।
শাবান মাসকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে রমাদানে প্রবেশ করা মুসলিম উম্মাহ এর জন্য বেশ বড় ব্যাপার। এর ফলে রমাদান মাসকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। তাই রমাদানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলে চাইলে এখন থেকেই সচেষ্ট হওয়া আবশ্যক।