দারুচিনি (Cinnamon) এমন এক মসলা যা মূলত গাছের ছাল বা বাকল। অর্থাৎ, দারুচিনি গাছের শুষ্ক বাকল মসলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এই গাছ অনেকটা তেজপাতা গাছের মতন দেখতে। এর আদি নিবাস শ্রীলঙ্কা হলেও বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভারত ও বাংলাদেশের মতন নানান দেশে এর উৎপাদন লক্ষ্যনীয়। এই মসলা ঝাল বা মিষ্টিজাতীয় – উভয় ধরনের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত।
দারুচিনি গুঁড়ার পুষ্টিগুণ
• নিয়মিত দারুচিনি গুঁড়া গ্রহণে রক্তে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা।
• বর্তমান সময়ে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনেই বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়। ফলে ড্রাই আইয়ের সমস্যা তুলনামূলক বেশি দেখা দেয় এমতাবস্থায় চোখকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে নিয়মিত দারুচিনি খাওয়া শুরু করা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক এই উপাদানটি ড্রাই আই সিন্ড্রমকে প্রতিরোধ করে এবং চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
• দারুচিনি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে অবদান রাখে। দারুচিনির পুষ্টিগুন নিউরনদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ব্রেনের মোটোর ফাংশনে উন্নতি ঘটায়। যা মস্তিষ্কের সমস্যা তৈরি করার সম্ভবনা কমিয়ে দেয়।
• দারুচিনিতে থাকে সিনেমেলডিহাইড নামক অ্যাসেনসিয়াল অয়েল। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে কাজ করে।
• প্রথমেই বলা হয়েছে যে দারুচিনি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে কাজ করে। যা রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকে সাবলীল রাখতে অবদান রাখে।
• শরীরকে রোগমুক্ত ও সুস্থ রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভূমিকা অনন্য। এছাড়া শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থ ও উপাদান বের করে দিতেও কাজ করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। দারুচিনিতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে কাজ করে।
কেন খাবেন খাস ফুডের দারুচিনি (Cinnamon)?
• খাবারের স্বাদবর্ধক
• পুষ্টিবর্ধক
• বাছাই করা দারুচিনি থেকে তৈরি
• শতভাগ নিরাপদ
• কোনো ঝামেলা ছাড়াই সহজে ব্যবহার যোগ্য
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.