বেল গুঁড়া (bel powder) এক চমৎকার ভেষজ উপাদান যা বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎস্যায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে পেটের নানান সমস্যা সমাধানে এর কার্যকারীতা লক্ষ্যনীয়। বেল অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এটি কাঁচা এবং পাকা উভয় অবস্থায় গ্রহণ করা যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Aegle marmelos, যা মূলত লেবু পরিবারের সদস্য।
এই ফলটি দেখতে গোলাকার এবং বহিরাবরণ শক্ত খোসাবৃত। ফলের শাঁস কয়েক খন্ডে বিভক্ত থাকে। কাঁচা অবস্থায় এর বর্ণ থাকে সবুজাভ যা পাকলে হলদেটে হয়ে যায়। আর শাঁস হলুদ বা কমলা বর্ণ ধারণ করে। মূলত প্রায় পরিপক্ব ফল রোদে শুঁকিয়ে তারপর গুঁড়া করা হয় যা বেল গুঁড়া বা Wood Apple powder বলে পরিচিত।
বেল গুঁড়ার উপকারিতাঃ
১। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
২। হজমে সহায়ক।
৩। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।
৪। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫। পেপটিক আলসার ও পাইলসের মতন রোগ নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৬। লিভারের সমস্যা দূর করতে কাজ করে।
৭। কিডনি ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।
৮। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে।
৯। চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে কাজ করে।
১০। শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দূর করে।
কেন খাস ফুডের বেল গুঁড়া (bel powder) গ্রহণ করবেন?
১। এটি খাস ফুডের নিজস্ব পণ্য।
২। প্রায় পরিপক্ব কিন্তু কাঁচা বেল সংগ্রহ করে তা কেঁটে রোদে শুঁকানো হয়।
৩। রোদে ভালোভাবে শুঁকানো হয়ে গেলে এরপর তা গুঁড়া করে প্যাকেজিং করা হয়।
৪। বেল সংগ্রহ থেকে প্যাকেজিং পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়।
৫। প্যাকেজিং এরপর হতে এক বছর পর্যন্ত গ্রহণ উপযোগী।
৬। বেলের মৌসুম ছাড়াও সুস্থতার জন্য বেলের শরবত গ্রহণ করতে পারবেন।
যেভাবে খাবেনঃ
প্রতিদিন এক গ্লাস অথবা ২০০ মিলি পানিতে একটুখানি চিনি মিশিয়ে সাথে ২ থেকে ৩ চা চামচ বেলের গুঁড়া মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন থাকবেন। পানির পরিবর্তে দুধের সাথে ব্লেন্ড করে মিল্কশেক বানিয়েও গ্রহণ করা যায়।
Got The Question About This Product?
You must be logged in to post a comment.
ভাল লেগেছে।
স্যার, আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।