মাশরুম
খাদ্য হিসেবে মাশরুম অতুলনীয়। প্রাচীনকাল থেকেই এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ও দামী খাবার হিসেবে বিবেচিত।
মাশরুমের খাদ্য উপাদান
মাশরুম প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি। তাই একে ‘সবজি মাংস’ও বলা হয়ে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে (শুকনো মাশরুম) ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। মাশরুমে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও কম মাত্রায় ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে।
মাশরুমের উপকারিতা
১। মাশরুমে কম মাত্রায় লৌহ রয়েছে। লৌহ কম থাকাতেও সহজলভ্য অবস্থায় থাকে বলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে মাশরুম সহায়তা করে।
২। মাশরুম খুব নিম্নশক্তি সম্পন্ন খাবার (Low Calorie)। এতে কোলেস্টেরল নেই, চরবির পরিমাণ অত্যন্ত কম (২-৮%), কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড, লিনোলোয়িক এসিড রয়েছে।
৩। মাশরুমের পরিমিত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও যথেষ্ট আঁশ (৮-১০%) থাকে। এতে স্টার্চ নেই।
৪। এতে শর্করার পরিমাণ কম বিধায় বহুমূত্র রোগীদের জন্য মাশরুম আদর্শ খাবার।
৫। কম চর্বি, কোলেস্টেরলমুক্ত এবং লিনোলোয়িক এসিড সমৃদ্ধ মাশরুম হৃদরোগীদের জন্যও খুব উপকারী।
আপনাদের টা কোন মাশরুম এবং কোথা থেকে আনেন?
চাষীদের জন্য জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র থেকে স্পন ভর্তি সাবষ্ট্রেট সহ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত পিপি ব্যাগ সরবরাহ করা হয়। সরবরাহকৃত এসব ব্যাগ থেকে উৎপাদন করা হয় Oyster mushroom বা ঝিনুক মাশরুম।
আমাদের পুষ্টিকর এবং খাঁটি Oyster mushroom বা ঝিনুক মাশরুম ঝিনাইদহ থেকে সংগ্রহ ও শুকানো হয়।
আপনাদের মাশরুমের মেয়াদ থাকবে কতদিন?
পরিষ্কার ও শুঁকনো চামচ ব্যবহার করুন। উৎপাদনের তারিখ থেকে ১ বছরের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।